বিশ্বকাপের ১২ তম ম্যাচে আজ বাংলাদেশ ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিলো। কার্ডিফে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস আজ বাংলাদেশের পক্ষে উঠেছিলো। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়কে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাথান। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে ইংল্যান্ড, ৩৮৬ রানের অসম্ভব একটা সংগ্রহ দাঁড় করায়। এরপরও বাংলাদেশি সমর্থক আশায় ছিলো বাংলাদেশ ভালো জবাব দেবে। এটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এ বিশাল রানের টার্গেটে নেমে প্রথমেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তামিমের সাথে সাকিবের ছোট একটা জুটি গড়ে উঠে। তামিম আউট হলে সাকিবের সাথে মুশফিক জুটি গড়েন। একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে। কিন্তু না। আজ বাংলাদেশ হারার আগেই হেরে বসেছে। যখন ওভারপ্রতি ১৪-১৫ করে রান লাগে তখনও বাংলাদেশের হাতে উইকেট থাকার পর মেরে খেলার কোন লক্ষন দেখা যায় না।
এর মাঝে অবশ্য সাকিব টার ক্যারিয়ারে ৮ম সেঞ্চুরির দেখা পান। আউট হবার আগে সাকিব ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১১৯ বলে ১২১ রান করেন।
সাকিব ছাড়া আজকের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বলার মত কেউ রান করেননি। মুশফিক ৫০ বলে ৪৪ করেন। শেষের দিকে মাহমুদুল্লাহের ৪১ বলে ২৮ রান বাংলাদেশের হারের আগে হার মেনে নেওয়াকে প্রমান করে। অবশ্য মাহমদুল্লাহ অপরাজিত থাকতে পারেননি। বাংলাদেশ দলও অল আউট হয় ২৮০ রানে। ১০৬ রানের বড় ব্যবধানের পরাজয়ে এড়ানো তাই সম্ভব হলো না বাংলাদেশের।
কার্ডিফে বোলিংয়ের এর আক্রমণ স্পিন দিয়ে শুরু করেন টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের স্পিনে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে ইংলিশরা। ৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ড মাত্র ১৫ রান তুলতে পেরেছিল। অবশ্য এরপর জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো বেশ চওড়া হোন বাংলাদেশি বোলারদের উপরে। ২০তম ওভারে ১২৮ রানের বিধ্বংসী এই জুটিটি ভাঙেন অধিনায়ক মাশরাফি। বেয়ারস্টোর ক্যাচ নিয়ে মিরাজ দলে কিছুটা সস্তি এনে দেন। ২য় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে রয় ৭৭ রানের জুটি গড়েন । ৩২তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এসে রুটকে বোল্ড আউট করেন। ২৯ বলে রুট করেন ২১ রান।
সেঞ্চুরির পর রয় আরোও ভয়ংকর হয়ে উঠেন। মিরাজের বলে মাশরাফির ক্যাচ হয়ে আউট হওয়ার আগে ইংলিশ ওপেনার ১২১ বলে ১৫৩ রান করে এক বিধ্বংসী ইনিংসে খেলেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ড যোগ করে ৯৫ রান। শেষের দিকে ওকস ৮ বলে ১৮ এবং প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে বড় এই ইনিংস গড়তে যোগ্য সঙ্গ দেন।
ইংল্যান্ডঃ ৩৮৬/৬ (৫০ ওভার)
বাংলাদেশঃ ২৮০/১০ (৪৮.৫ ওভার)