Connect with us

ফুটবল

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা সম্পর্কে ৫০ টি তথ্যঃ প্রথম পর্ব (১-২০)

ডিয়েগো ম্যারাডোনার ৫০ টি তথ্য নিয়ে খেলার পাতা

ফুটবল বিশ্বে সর্বকালের সেরা কে এই প্রশ্নে আজও মানুষ তর্ক বিতর্কে মেতে উঠে। বিশ্বকাপ আসলে বাংলাদেশের প্রতিটা আনাচে কানাচে এ নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নমত দেন। কিন্তু এমন কাউকেই পাওয়া যাবে না সর্বকালের সেরা ৫ জনের লিস্ট দিতে বললে ডিয়াগো ম্যারাডোনাকে রাখবেন না। কারোও মতে তিনিই সর্বকালের সেরা, আবার কারোও মতে তিনি সেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার। একজন সফল ব্যাক্তিত্ব ম্যারাডোনার ফুটবল ক্যারিয়ার বিভিন্ন রঙে সাজানো। ভাল খারাপ সব দিকই আছে তার ক্যারিয়ারে। আমরা খেলার পাতা ম্যারাডোনার ৫০ টি তথ্য নিয়ে আমাদের পাঠকদের সামনে হাজির হয়েছি।

 

১) ডিয়েগো ম্যারাডোনা বুয়েনস আইরেসের উপকণ্ঠে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।

২) ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৯৯ টি ম্যাচ খেলে 34 টি গোল করেন।

৩) তিনি নিজের দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন।

8) তিনি ১৯৮২ সালে বার্সেলোনায় যাওয়ার আগে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে বোকা জুনিয়র্সকে সহায়তা করেছিলেন। তবে ১৯৮৪ সালে তিনি নেপোলিতে ট্রান্সফার হোন এবং ১৯৮৭ ও ১৯৯০ সিজনে তাদের দুটি সিরিয়া-এ জিততে সহায়তা করেন।

৫) বিশ্বকাপে যে কোনও দেশের অধিনায়ক হিসাবে সর্বাধিক সংখ্যক ম্যাচে খেলার রেকর্ডটি ম্যারাডোনার। তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে ১৬ বার নেতৃত্ব দেন। তবে,  বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে ম্যারাডোনা মোট ২১ টি ম্যাচ খেলেছেন।

৬) ২০০৫ সালে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার টেলিভিশনে একটি টক শো হোস্টিং শুরু করেন। ফুটবলে ম্যারাডোনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্ধি যাকে ভাবে হয় সেই পেলেকেই তিনি তাঁর প্রথম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি করেছিলেন।

৭) ম্যারাডোনা ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর মাত্র ১৫ বছর বয়সে আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন।

৮) ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী বুয়েনস আইরেসের বোম্বোনেরা স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে হাঙ্গেরির বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন।

৯) ১৯৭৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের একজন গর্বিত সদস্য ছিলেন ম্যারাডোনা।

১০) তাঁর বাহুতে চে-গুয়েভারার একটি ট্যাটু এবং বাম পায়ে ফিদেল কাস্ত্রোর একটি প্রতিকৃতি রয়েছে।

১১)  বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়ারের রেকর্ডটি ম্যারাডোনার অধীনে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে আটকাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়ারেরা ৫৩ বার তাকে ফাউল করেন।

১২) বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউল হওয়ার রেকর্ডও ম্যারাডোনার, ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালি তাকে ২৩ বার ফাউল করেছিল।

১৩) ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে  বিশ্বকাপ জেতান। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।

১৪) ৮৬ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলার পুরুষ্কার হিসেবে গোল্ডেন বল জিতেন তিনি।

১৫) ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের হাত দিয়ে গোল করেছিলেন ডিয়েগো। ঘটনাটি সম্পর্কে যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন: “গোলটি ম্যারাডোনার মাথার কাছ থেকে ইশ্বরের হাত দিয়ে গোল করা হয়েছিল।”

১৬) তিনি ১৯৮৯ সালে উয়েফা কাপও জিতেছিলেন।

১৭) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেন। গ্রিসের বিপক্ষে একটি গোল করেন। ডোপিং এর জন্য অভিযুক্ত হয়ে পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে বিশ্বকাপ চলাকালীন তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

১৮) ম্যারাডোনা বুয়েনস আইরেসে ১৯৮৮ সালের ৭ নভেম্বর ক্লোদিয়া ভিলফানেকে বিয়ে করেন, তবে ২০০৪ সালে এই জুটির ডিভোর্স হয়ে যায়।

১৯) ২০০৮ সালের অক্টোবরে তিনি আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০) ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর পরিচালক ম্যারাডোনার অধীনে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ খেলে। সেদিন তার দল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পায়।

 

দ্বিতীয় পর্বে ম্যারাডোনা সম্পর্কে আমরা আরোও তথ্য নিয়ে আসছি, জানতে চোখ রাখুন খেলার পাতায়

মন্তব্য করুন

মন্তব্য

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ফুটবল - এর আরও খবর